Header Ads Widget

কাজের মেয়ের সাথে bangla Choti

কাজের মেয়ে ও ঘরের যুবক



বয়স সীমা: ১৮+

লম্বা গল্প | রোমান্টিক | আবেগপ্রবণ | উত্তেজনাময়



🏠 পরিচিতি ও শুরু


আমি রায়হান, বয়স ২৪। সদ্য চাকরি পেয়েছি ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে। আমার বাবা-মা গ্রামে থাকেন, আর আমি ঢাকায় একাই একটা তিন রুমের ফ্ল্যাটে থাকি। ব্যাচেলর লাইফের নানা ঝামেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো রান্নাবান্না ও বাসার কাজ। তাই আমি একজন কাজের মেয়ে রাখি — নাম ঝিলিক।


ঝিলিক দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। গায়ের রঙ একটু শ্যামলা হলেও মুখটা দারুণ মায়াবতী। চোখ দুটো বড় আর টানাটানা, চুলগুলো কোমর পর্যন্ত, আর ফিগারটা যেন সৃষ্টিকর্তার শিল্পকর্ম। বয়স আনুমানিক ২০–২১, কিন্তু চালচলনে অনেক পরিপক্ব।



🔁 প্রতিদিনের নীরব আকর্ষণ


প্রথম এক-দু’দিন তো স্বাভাবিক ছিল। ঝিলিক প্রতিদিন সকালে এসে ঘর মোছে, রান্না করে, কাপড় কাচে। কিন্তু একদিন দুপুরে আমি লক্ষ্য করলাম সে রান্না করতে করতে বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছে।


সে যখন রান্নাঘর থেকে বের হয়, তখন গায়ের শাড়ি এমনভাবে পড়ে থাকে, যেন শরীরের কিছু অংশ ইচ্ছা করে দেখা যাচ্ছে — কোমরের পাশ, বুকের বাঁকা রেখা… আমি চোখ সরাতে পারি না। আর ঝিলিকও সেটা বুঝে হালকা হাসে।


প্রতিদিন কিছু না কিছু হয় — একদিন রান্না করতে গিয়ে গায়ে পানি পড়ে, আর সে এসে বলে,

— "স্যার, একটা তোয়ালে দিবেন? শাড়ি ভিজে গেছে…"


আমি তোয়ালে দেই, কিন্তু চোখ চলে যায় ভেজা কাপড়ের নিচে তার গায়ের রেখাগুলোর দিকে।




💓 ঘটনার শুরু


একদিন শুক্রবার, আমি অফিসে যাইনি। সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। আমি বারান্দায় বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি ঝিলিক ভেজা চুলে আমার সামনে এসে দাঁড়াল।


সে বলল,

— "স্যার, আজ তো বাইরে যাবেন না, আমি দেরি করে গেলে হবে তো?"


আমি একটু মজা করে বললাম,

— "তুমি থাকো আজ, একসাথে দুপুরের খাওয়া শেষ করি।"


সে একটু লজ্জা পেলেও রাজি হলো।


দুপুরে আমি টেবিলে বসেছি, ঝিলিক খাবার দিচ্ছে। হঠাৎ হেলে পড়ে গেল আমার গায়ে। আমি তাকে ধরে ফেললাম। সে তাকিয়ে রইল আমার চোখে… আর আমি প্রথমবার তাকে বললাম —

— "ঝিলিক, তুমি জানো তুমি খুব সুন্দর?"


সে চোখ নামিয়ে বলল,

— "আপনি সব সময় খালি তাকান, আর আজ বললেন?"


আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। ধীরে ধীরে তার হাত ধরলাম। সে কিছু বলল না, শুধু চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল।


আমি তাকে নিজের দিকে টেনে নিলাম। গায়ের গন্ধ, ভেজা চুলের ছোঁয়া, চোখের চাহনি — সব মিলে সে এক জাদু হয়ে উঠেছিল।


সে আমার বুকের ওপর মাথা রাখল, নিঃশ্বাস গরম হয়ে উঠেছিল। ফিসফিস করে বলল —

— "আপনি যদি চান… আমি আপনার হয়ে যেতে পারি। শুধু কাজের মেয়ে না, আপনার আপন…"


আমি তাকে বিছানার দিকে নিয়ে গেলাম। সে বাধা দিল না। ধীরে ধীরে আমি তাকে আদরে ভরিয়ে দিলাম। আমাদের শরীরের প্রতিটা ছোঁয়া যেন বিদ্যুৎ ছড়াচ্ছিল।



সেই রাত ছিল বৃষ্টিভেজা, নির্জন। আমরা একে অপরকে আবিষ্কার করলাম নতুনভাবে। তার প্রতিটা স্পর্শ, চাহনি, শ্বাস যেন আমাকে অন্য জগতে নিয়ে যাচ্ছিল।


ঝিলিকের ঠোঁট আমার গালে ছুঁয়ে বলল —

— "আমার কোনো দাম নেই, জানি। কিন্তু আপনি চাইলে আমি শুধু আপনারই হবো।"


আমি বললাম —

— "তোমার দাম আমি জানি। তুমি শুধু কাজের মেয়ে না, তুমি আমার মনের মানুষ…"


💬 পরদিন সকাল


সকালে উঠে ঝিলিক চুপচাপ ঘর পরিষ্কার করছিল। আমি বললাম,

— "কাল রাতের জন্য কিছু বলবে না?"


সে বলল —

— "আমার জীবনে প্রথম কেউ আমাকে মেয়ে হিসেবে ভালোবেসেছে, স্যার… আমি এখন শুধু আপনার।"

🍼 ঝিলিকের জাদু – পর্ব ২: নতুন প্রাণের সাড়া


ধরন: রোমান্টিক চটি গল্প | গোপন প্রেম | প্রেগন্যান্সি | ১৮+

পূর্ববর্তী পর্ব: রায়হান ও ঝিলিক একে অন্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে গোপনে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়।




🧪 অদ্ভুত পরিবর্তন


কয়েক সপ্তাহ ধরে আমি খেয়াল করছিলাম, ঝিলিক আগের মতো প্রাণবন্ত নেই। খুব সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে, হঠাৎ হঠাৎ বমি করে, আর মুড বদলে যায় খুব তাড়াতাড়ি।


আমি জিজ্ঞেস করলাম,

— "তুমি ঠিক আছো তো? কিছু খারাপ লাগছে?"


সে চোখ নামিয়ে বলল,

— "ভাল্লাগে না… শরীর ভার লাগতেছে, খাইতে পারি না কিছু।"


আমি সন্দেহ করলাম। তাকে নিয়ে গেলাম ক্লিনিকে। কিছু টেস্ট করালাম।


🧫 পরীক্ষার রিপোর্ট


ডাক্তার রিপোর্ট হাতে নিয়ে বললেন —

"ঝিলিক প্রেগন্যান্ট। প্রায় ৭ সপ্তাহ চলতেছে।"


আমি চুপ করে গেলাম। ঝিলিক আমার দিকে তাকিয়ে বলল —

— "স্যার… আমি কি ভুল করলাম?"


তার চোখে জল। আমি হাত ধরে বললাম —

— "তুমি ভুল করোনি, আমরা দু’জনেই যা করেছি — ভালোবেসে করেছি। এই সন্তান আমার, আমি দায়িত্ব নেবো।"



😰 ভয় ও বাস্তবতা


তবে সমস্যা ছিল অন্যখানে। ঝিলিক তো একজন ‘কাজের মেয়ে’। সমাজে তার স্থান নিচু, আর আমি ছিলাম শহরের সম্ভ্রান্ত চাকরিজীবী ছেলে।


বাড়িতে জানালে কী হবে? অফিসে জানাজানি হলে?


ঝিলিক কাঁদতে কাঁদতে বলল —

— "আপনি চাইলে আমি চুপিচুপি হারায় যামু… কাউরে কইমু না কিছু…"


আমি হঠাৎ শক্ত হয়ে বললাম —

— "তুমি কোথাও যাবে না! তুমি এখন শুধু ঝিলিক না, তুমি আমার সন্তানের মা। আমি তোমাকে সবার সামনে মেনে নিবো।"



👨‍👩‍👦 চুপি চুপি নতুন সংসার


আমি সিদ্ধান্ত নিলাম — আপাতত কাউকে কিছু না জানিয়ে ঝিলিককে নিয়ে অন্য বাসায় উঠে যাবো। ওকে পুরোপুরি বিশ্রামে রাখলাম। অফিসে বললাম, মা অসুস্থ, গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি।


সেই সময়টা ছিল অদ্ভুত সুন্দর — ঝিলিক দিনে দিনে আরও কোমল হয়ে উঠছিল। পেটে নতুন প্রাণের স্পন্দন, আর চোখে এক অন্য রকম মা-হওয়ার আলো।


রাতে আমি পেটে হাত রেখে বলতাম —

— "আমার সন্তান, তুমি শুধু মায়ের নয়, বাবারও প্রিয়…"





💍 পরিকল্পনা বিয়ের


আমি ঝিলিককে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলাম। যদিও সমাজ মেনে নেবে না সহজে, কিন্তু আমি প্রস্তুত। আমি চুপিচুপি নিকাহ পড়িয়ে ফেললাম। সে দিন ঝিলিকের পরনে ছিল একটা লাল শাড়ি, গলায় একটা সোনার চেইন — আর মুখভরা শান্তি।




📅 শেষ অধ্যায় (এই পর্বের)


আজ ঝিলিক সাত মাসের গর্ভবতী। আমি অফিস করি, সে ঘরে থাকে, বাচ্চার জন্য ছোট ছোট জামা কিনে রাখে।


একদিন সন্ধ্যায় সে বলল —

— "স্যার… না, এখন তো আপনি আমার স্বামী… জানেন? আমি স্বপ্নে একটা ছেলে দেখছিলাম, ঠিক আপনার মতো!"


আমি হেসে ওর পেটে হাত রেখে বললাম —

— "ছেলে হোক আর মেয়ে, সে আমাদের ভালোবাসার চিহ্ন…"

Post a Comment

0 Comments